Social compliance responsibility

I strongly believe that the winning companies of their country will be those who prove with their actions that they can be profitable and increase social value- companies that both do well and do good... Increasingly, shareowners, customers, partners and employees are going to vote with their feet — rewarding those companies that fuel social change through business.

Powered By Blogger

Monday, June 13, 2022

দলিল আছে কিন্তু রেকর্ড অন্যের নামে, দলিল কি টিকবে?

 দলিল আছে কিন্তু রেকর্ড অন্যের নামে দলিল কি টিকবে?

একটি জমি কেনার আগে যদি ক্রেতা জানতে পারে যে, ঐ জমির দলিল সূত্রে মালিক হচ্ছে একজন, আর রেকর্ড সূত্রে মালিক হচ্ছে আরেকজন। সেই ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ক্রেতার কি উচিত হবে উক্ত জমি ক্রয় করা?- আজকের আর্টিকেল জুড়ে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো। প্রথমে জেনে নেই, একটি জমির দুইটি ভিন্ন সূত্রে দুই জন বৈধ মালিক কীভাবে থাকে। একটি জমির একই সময়ে একাধিক মালিক থাকতে পারে, যদি উক্ত জমির জাল দলিল থেকে থাকে। কিন্তু, জাল দলিলের মাধ্যমে যে মালিকানা দাবি করা হয় সেটা সম্পূর্ণ আইনত অবৈধ। এখানে জেনে রাখা ভালো, একটি জমি যদি একই বিক্রেতা কর্তৃক একাধিক বার বিক্রয় করা হয়, তাহলে প্রথম যে দলিলটি সম্পাদিত এবং রেজিস্ট্রিকৃত হবে, সেটি ব্যতীত বাকী সকল দলিল জাল দলিল হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাহলে এখানে স্পষ্ট যে, দলিল সূত্রে একই সময়ে কেবলমাত্র একজন বৈধ মালিক থাকতে পারে। তাহলে এখন প্রশ্ন, একটি জমির দুই জন বৈধ মালিক কীভাবে থাকে? দলিল সূত্রে যেমন জমির মালিক হওয়া যায়, রেকর্ড সূত্রেও জমির মালিক হওয়া যায়। আমরা যে, সিএস, আরএস, বিএস ইত্যাদি রেকর্ডের নাম শুনে থাকি, সেইসব রেকর্ডের মাধ্যমেও জমির মালিক হওয়া যায়। আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম রেকর্ড করা হয়, সিএস রেকর্ড। তখন যাকে যে জমির দখলে পেয়েছে, তাকে সেই জমির দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তখন জমির দখল সত্ত্বের উপর ভিত্তি করে রেকর্ড করায় সিংহভাগ মানুষই রেকর্ড সূত্রে বা খতিয়ান সূত্রে জমির মালিক হয়েছে। তারপর আসলো আরএস রেকর্ড, এরপর বিএস। পরবর্তী রেকর্ডগুলোর সময় জমির দখল সত্ত্বের পাশাপাশি দলিল দস্তাবেজও দেখেছেন সার্ভেয়াররা। তখন, জমির মালিকদেরকে নিজ নিজ নামে খতিয়ান বা কয়েকজনকে একটি খতিয়ানে জমির পরিমাণ, হিস্যা উল্লেখ করে মালিক ঘোষণা করা হয়েছে। এই রেকর্ডের ভিত্তিতেও একজন ব্যক্তি একটি জমির বৈধ মালিক হতে পারেন। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, একজন ব্যক্তি যদি একটি জমির দলিল সূত্রে এবং রেকর্ড সূত্রে মালিক হয়, তাহলে তো কোন সমস্যা নেই; কিন্তু যদি একই জমির একজন মালিক দলিল সূত্রে হয় আর আরেকজন রেকর্ড সূত্রে মালিক হয়, তাহলে জমির প্রকৃত মালিক কে? এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া গেলেও সেটা বিশাল জটিলতা তৈরি করবে এবং পরিস্থিতি ভেদে উত্তরটি ভুল হয়ে সম্পূর্ণ পাল্টেও যেতে পারে। তাই, সিএস রেকর্ডের মতো খণ্ড খণ্ড করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়াই ভালো; বুঝতে সহজ হবে। জমির মালিকানা নির্ধারণ করতেই মূলত সরকার নিজ উদ্যোগে নিজ খরচে রেকর্ড করিয়ে থাকে। সরকারি ভাবে যেহেতু এই রেকর্ড কার্য হয়ে থাকে, সেহেতু সরকারি হিসেবে জমির মালিক হচ্ছেন যার নামে জমিটি রেকর্ড করানো আছে। এখন কোন রেকর্ড সূত্রে মালিক যদি তার মালিকানাধীন জমি অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে হয়, তখন তাকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হয় যাতে বিক্রেতা ক্রেতার নিকট জমি হস্তান্তর করে এই বাবদ লিখিত দলিল সম্পাদন করছে এটা পরবর্তীতে অস্বীকার করতে না পারে। তারপর ক্রেতার দায়িত্ব হচ্ছে, সরকারি খাতায় তথা ভূমি অফিসে যেহেতু পূর্বের মালিকের নাম এখনো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তার নাম বাতিল বা খারিজ করিয়ে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা, যাকে বলে নামজারি। এই যে প্রক্রিয়াটি, এটি নিয়ে সময়ের কোন তামাদি নেই বলে অনেকেই জমি ক্রয় করার পরও জমি নামজারি করায় না, তথা রেকর্ডে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে না তথা নিজ নামে খতিয়ান প্রস্তুত করে না বিধায় এই জটিলতা গুলো তৈরি হয়। ধরুন, ‘ক’ জমির বিক্রেতা, ‘খ’ জমির ক্রেতা। ‘ক’ দলিল এবং রেকর্ড সূত্রে একটি জমির মালিক। ‘ক’ তার জমিটি বিক্রয় করার ইচ্ছা পোষণ করায় ‘খ’ উক্ত জমি কিন্তু আগ্রহ প্রকাশ করে। তথাপি, ‘খ’ সাব- রেজিস্ট্রি অফিস গিয়ে ‘ক’ এর কাছ থেকে দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে উক্ত জমির মালিকানা পেয়ে যায়। এরপর ‘খ’ এর আর কোন খবর নাই, অর্থাৎ নামজারি/ খারিজ করায়নি। এভাবে কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পর ‘খ’ যেকোনো প্রয়োজনে ঐ জমিটি আবার বিক্রি করার ইচ্ছে পোষণ করল। এমতাবস্থায় আপনি ঐ জমি ক্রয় করতে গেলেন এবং জমির দলিল এবং রেকর্ড সমূহ তল্লাশি দিয়ে দেখলেন যে, জমির মালিক তো দুইজন। দলিল সূত্রে ‘খ’ আর রেকর্ড সূত্রে ‘ক’। এমতাবস্থায়, আপনি কি জমিটি ক্রয় করবেন? কাগজে কোন ঝামেলা থাকলে জমি কিনবেন না, এটা হচ্ছে ফরয। কিন্তু, কখনো কখনো এমন কিছু জমি থাকে যেগুলো একেবারে আপনার জন্য জরুরী। যেমন, আপনার পাশের জমিটি, আপনি চাইবেন বাহির থেকে কেউ একজন এসে ঐ জমিটি কিনে নিক এবং ভবিষ্যতে আপনার সাথে সীমানা নিয়ে ঠেলাঠেলি করুক। আবার, একটা জমি ভবিষ্যতে খুব মূল্য হবে বা আপনার ওয়ারিশ বেশি, তাদের জন্য জমির প্রয়োজন, তখন কিন্তু আমরা ঝামেলা থাকা সত্ত্বেও জমি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করি। অন্যান্য ঝামেলাযুক্ত জমি অতীব প্রয়োজনে কীভাবে কি সচেতনতা মেনে ক্রয় করা যায়, সে বিষয়ে অন্য একদিন আলাপ করবো; আজ শুধু এই জটিলতা নিয়ে আলাপ করবো। দলিল সূত্রে ‘খ’ আর রেকর্ড সূত্রে ‘ক’, এমতাবস্থায় যেহেতু ‘খ’ ক্রয় করেছে ‘ক’ এর কাছ থেকে সেহেতু আপনি ‘খ’ কে বলুন, আগে সে নিজের নামে জমিটি খারিজ/ নামজারি করিয়ে নিতে। তাহলে ‘খ’ দলিল এবং রেকর্ড উভয় সূত্রেই মালিক হয়ে যাবে। তখন আপনি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই জমিটি ক্রয় করতে পারবেন। কিন্তু, কখনো কখনো সময় স্বল্পতার কারণে যদি ‘খ’ নিজ নামে খারিজ করাতে না পারে বা ভূমি অফিসেও আলাপ করে ভায়া দলিল দেখিয়ে খারিজ/ নামজারির আবেদন করতে পারেন, তবে সেটা খারিজ/ নামজারি হবে কিনা তা অনিশ্চিত। তাই, কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে তারপরই কেবল জমি ক্রয় বা বায়না করা উচিত।

Sunday, June 12, 2022

২০২২ সালের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া (Profitable Business ideas in 2022)

 নিজের জন্য আপনি কি উপযুক্ত ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন? সে জন্য  কি আপনি গুগলে সার্চ করছেন এবং অনেক আর্টিকেল পড়ছেন যাতে আপনার নিজের জন্য সহজ  উপযুক্ত বিজনেস আইডিয়া পেয়ে থাকেন

সাম্প্রতিককালে অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যবসায়িক ধারণার জন্য ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার % সুতরাং, আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সুযোগ রয়েছে।

এখানে আপনাদের সাথে ২০২২ সালে শুরু করার জন্য সবচেয়ে লাভজনক, সহজ এবং সফল ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করব যা একটি বাস্তব ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে পুরোপুরি না হলেও ৮০% সহায়তা করবে

কিভাবে ব্যবসার আইডিয়া পাবেন? (kivabe business idea paben?)

ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বের করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল সমস্যা চিহ্নিত করা। প্রতিটি সমস্যার একটি সম্ভাব্য ব্যবসায়িক সুযোগ আছে যদি আপনি সেগুলি ব্যবসার মাধ্যমে সমাধান করতে পারেন। আপনি যদি ব্যবসায়িক ধারণা পেতে চান, তাহলে প্রথমে প্রধান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করুন এবং ব্যবসায়ের মডেলের মাধ্যমে সেগুলি সমাধান করুন।

বিজনেস আইডিয়া খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলে আপনি অনেক নতুন ব্যবসার আইডিয়া পাবেন কিন্তু আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন না করলে আপনি হাজার হাজার ব্যবসায়িক আইডিয়া থেকে একটি পয়সাও আয় করতে পারবেন না।

যেকোন ব্যবসা শুরু করার আগে কি করা উচিত?

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে, ব্যবসাকে প্রসারিত করা যাবে কি না বা সময়ের সাথে ব্যবসাকে স্কেল করতে পারবেন কি না তা চিন্তা করা উচিত। যদি তা করা না যায় তাহলে ব্যবসাকে বড় ব্যবসায় রূপান্তরিত করা যাবে না।

আরেকটি বিষয় হল ব্যবসার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন। কিছু ব্যবসা দক্ষতা ছাড়া চালানো যায়, আবার কিছু ব্যবসা দক্ষতা ছাড়া করা যায় না।

আপনি যদি আপনার ব্যবসা দ্রুত স্কেল করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যবসার অনলাইন উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, অনলাইন ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই আপনি অনলাইন ব্যবসা অর্থাৎ আইটি-সম্পর্কিত ব্যবসা থেকে ভালো আয় করতে পারবেন।

লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া ২০২২ (Profitable business idea 2022) :

আমাদের দেশে পোশাক শিল্প, পোল্ট্রি শিল্প, চা শিল্প, চামড়া শিল্প, সামুদ্রিক মাছ শিল্প এবং সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। সাফল্য খুঁজে পেতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য ব্যবসায়িক ধারণার এই তালিকায় ৩২টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া দেয়া হয়েছে। যা থেকে আপনার পছন্দমত আইডিয়া দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

ফ্যাশন হাউজ

বর্তমান সময়ে, ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা একটি খুব উপযুক্ত ব্যবসা। ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার কিছু পরিকল্পনা করা উচিত।

যেহেতু বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পোশাক রপ্তানিকারক দেশ, তাই ফ্যাশন হাউজ শুরু করা আপনার জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। আমাদের গবেষণায় আমরা দেখেছি ফ্যাশন হাউসগুলো ভালো করছে। আপনি যদি পাঞ্জাবি, শার্ট, সালোয়ার কামিজ, থ্রি-পিসের মতো সুন্দর পোশাক ডিজাইন করতে পারেন, তাহলে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

এটি শুরু করার জন্য, আপনার প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। এমনকি আপনাকে প্রাথমিকভাবে একটি জায়গা ভাড়া নিতে হবে না। শুধু একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করুন, আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং বিক্রয় করুন। যেখানে ভালো মানের পাকিস্তানি ড্রেস পাওয়া যায়। আপনিও এভাবে ফেসবুক পেজ বানাতে পারেন। আরও গ্রাহক পেতে আপনি ফেসবুক পেজে বুস্ট দিতে পারেন।

আনুমানিক প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ

  • ৩০০০০-৫০০০০ টাকা যথেষ্ট

আনুমানিক লাভঃ

  • প্রায় প্রতি মাসে ৩০০০০-৭০০০০ টাকা

ছোট কফি শপ

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অফিসিয়াল মিটিং বা অবসর সময়ে গরম পানীয় হিসেবে কফির চাহিদা অনেক বেড়েছে। তরুণরাও তাদের হ্যাংআউট জোন হিসেবে কফির দোকান পছন্দ করে। এই প্রবণতা বিবেচনা করে, আপনি একটি কফি শপ ব্যবসার ধারণা চিন্তা করতে পারেন। আপনার কফি শপের জন্য একটি ভাল অবস্থান খুঁজুন যেমন অফিস বা পার্কের কাছাকাছি, শপিং মলগুলিতে বা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি।

তারপর একটি ভাল অবস্থানে দোকানের জন্য একটি ছোট জায়গা ভাড়া নিতে পারেন এবং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

আনুমানিক প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ

  • ২৫০০০-৩০০০০ টাকা

আনুমানিক লাভঃ

  • প্রায় প্রতি মাসে ২০০০০-৩০০০০ টাকা

কসমেটিক্স শপ

অন্য কোন ব্যবসার চেয়ে বাংলাদেশে কসমেটিক্স শপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত মেয়েরা এই ব্যবসার প্রধান গ্রাহক। এই ব্যবসা থেকে প্রায় ৩৫% থেকে ৪০% বা তার বেশি আয় করা যায়।

সর্বনিম্ন বা কোন বিনিয়োগ ছাড়াই, আপনি একটি কসমেটিক্স ব্যবসা করতে পারেন। কি করতে হবে? শুধু একটি ফেসবুক পেজ খুলুন, গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকুন এবং বিক্রি করুন।

প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ

আপনি ভালো ইনভেস্ট করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাছাড়া আপনি কসমেটিক্স পণ্য বিক্রি করতে একটি কসমেটিক্স দোকানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি শুধু আইটেম বিক্রি করুন এবং তাদের অর্থ প্রদান করুন। কোন বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।

  • আনুমানিক লাভ: ৫০ হাজার থেকে লক্ষ টাকা

ব্যবহৃত পণ্য: কেনা এবং বেচাঃ

এটি আপনার জন্য আরেকটি ব্যবসার সুযোগ। আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি দোকান খুলতে পারেন। এটি একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা।

অফলাইন দোকানের সাথে, আপনি  একটি ওয়েবসাইটও খুলতে পারেন। আপনি যদি বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আপনি আপনার ব্যবসা সহজেই বৃদ্ধি করতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে শুধু অনলাইন পেজ খুলে অনলাইন ব্যবসাও করতে  পারেন।

আপনি একটি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল, টেলিভিশন, আনুষাঙ্গিক বা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস কিনতে পারেন এবং তা মুনাফার সাথে মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

 আনুমানিক লাভ: ৫০০০০ টাকা

ট্যুরিজম ব্যবসা

আমাদের দেশে পর্যটন একটি ভাল ব্যবসায়িক ধারণা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক পর্যটক আসে। তাদের বেশিরভাগেরই ভ্রমণের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই , তাই তাদের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিতে হয়। আপনি সেই পর্যটকদের কাস্টমাইজড বা পরিচালিত ট্যুর প্যাকেজ অফার করতে পারেন যার মধ্যে হোটেল বুকিং, ট্রেন বা এয়ার টিকেট, জায়গা নির্ধারণ  ইত্যাদি রয়েছে। এই ব্যবসা আপনি কম বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করতে পারবেন।

  • প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ ৩৫০০০ BDT
  • আনুমানিক লাভঃ ২০০০০-৩০০০০ টাকা

খেলনার শপ

খেলনা দিন দিন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খেলনার বাজার বাড়ছে। এটি একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। বেশিরভাগ খেলনা চীন থেকে আসে। চীন খুব সস্তা হারে খেলনা তৈরি করতে পারে। সুতরাং, যদি আপনি বাল্ক অর্ডার আমদানি করেন, তাহলে গড় মূল্য কম হবে। সুতরাং, আপনার মুনাফা বেশি হবে।

একটি জিনিস আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে খেলনা শুধুমাত্র শিশুদের জন্য। সুতরাং, আপনাকে অবশ্যই বাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণকরতে হবে কারণ পুরানো ফ্যাশনের খেলনাগুলি আনলে আপনার ব্যবসা ব্যর্থ হবে।

  • আনুমানিক প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ ৩০০০০-৫০০০০ টাকা
  • আনুমানিক লাভঃ ৩০০০০-৪০০০০ টাকা

গিফট শপ

গিফট শপ আজকাল খুব জনপ্রিয় দোকান। প্রত্যেকে বিশেষ দিনে একে অপরকে উপহার দেয়। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা কিন্তু এর জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে এই ব্যবসা অনলাইনেও করতে পারবেন।

  • আনুমানিক প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ ৩০০০০-৫০০০০ টাকা
  • আনুমানিক লাভঃ ৩০০০০-৪০০০০ টাকা

শিশু এবং মায়ের ব্যবহার্য পণ্য ব্যবসা

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং খুবই জনপ্রিয়। সব শ্রেণীর মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে। বিকাশ, রকেট, নাগাদ, ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়। আপনি সমস্ত মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সহ একটি দোকান খুলতে পারেন মোবাইল ব্যাংকিং ছাড়াও, আপনি সমস্ত মোবাইল অপারেটরের সিম কার্ড, ফ্লেক্সি লোড বিক্রি করতে পারেন যা মুনাফা বৃদ্ধি করবে। এই ব্যবসা শুরু করা খুব সহজ এবং এই ব্যবসা থেকে সন্তোষজনক লাভ পাওয়া যাবে

আমি মনে করি যাদের কোন দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান নেই কিন্তু নতুন ব্যবসা খুঁজছেন, তারা এই ব্যবসা করতে পারেন।

ফুচকা এবং চটপটির ব্যবসা

ফুচকা এবং চকপটি উপমহাদেশের ট্রেন্ডি স্ট্রিট ফুড। শহুরে এবং গ্রামের মানুষ ফ্রেশ এবং স্বাস্থ্যকর ফুচকা এবং চটপটি পছন্দ করে। কিন্তু যারা এই ব্যবসা করছেন তারা এর মান সম্পর্কে অজ্ঞ। ফুচকা এবং চটপটির অধিকাংশই অস্বাস্থ্যকর। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিত্যাগ করে। এখানেই আপনার ব্যবসার সুযোগ রয়েছে।

এখানে খুব কম বিনিয়োগ প্রয়োজন। আপনাকে কেবল সবকিছু প্রক্রিয়া করতে এবং এটিকে সুস্বাদু করতে জানতে হবে। যদি আপনি পরিষ্কার এবং ফ্রেশ উপাদান প্রক্রিয়াকরণের সাথে সুস্বাদু ফুচকা এবং চকপোটি সরবরাহ করতে পারেন। তবে এটি একটি দুর্দান্ত ব্যবসায়ের সুযোগ করে দেয়।

কোচিং ব্যবসা

কোচিং ব্যবসা আমাদের দেশের অন্যতম লাভজনক ব্যবসা। যেহেতু একজন প্রাইভেট টিউটর ব্যয়বহুল তাই একটি মানসম্পন্ন কোচিং সেন্টার খরচ সাশ্রয়ী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী। আমাদের দেশে কিছু জনপ্রিয় কোচিং সেন্টার রয়েছে যেমনঃ উদভ্যাশ, ফোকাস, রেটিনা, ইউসিসি ইত্যাদি তারা অনেক ভালো ব্যবসা করছে। আমি যতদূর জানি কোচিং সেন্টারের অধিকাংশই লাভজনক। কোচিং ব্যবসায় ব্যর্থতার ঝুঁকি খুবই কম।

কিন্তু আপনি একটি কোচিং ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে

  • ভালো সংখ্যক শিক্ষক
  • ভালো পরিবেশের ক্লাসরুম
  • একটি কার্যকর পরীক্ষা ব্যবস্থা।

আপনি কোচিং ব্যবসা থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

 

হোম মেইড ফুড

বাংলাদেশের বাজারে ঘরে তৈরি খাবারের যুক্তিসঙ্গত চাহিদা রয়েছে কারণ ঘরে তৈরি খাবার টাটকা এবং ভালো স্বাদের।স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ঘরে তৈরি খাবার খেতে চায়। তারা রেডিমেড দোকানের খাবারে আগ্রহী নয় কারণ এটি বেশিরভাগ সময় ভেজাল এবং অস্বাস্থ্যকর হয়।

আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট রেসিপি ভালোভাবে রান্না করতে পারেন, তা হতে পারে যে কোনো ধরনের পিঠা, চাটনি , কেক বা খাবার। যদি আপনি এটিকে সঠিক উপায়ে প্রচার করতে পারেন এবং মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা করে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।

গৃহ-নির্মাতা মা এই স্মার্ট ব্যবসা করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন। গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করবেন এবং বিনিময়ে মুনাফা অর্জন করবেন।

ডেলিভারি কোম্পানি

অনলাইন ব্যবসার উত্থানের সাথে, বিশেষ করে এফ-কমার্স, পণ্য সরবরাহ করা ছোট ব্যবসার মালিকের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের বিষয়। ঢাকা শহরে অনেক ডেলিভারি কোম্পানি আছে, কিন্তু তার চাহিদার তুলনায় সংখ্যা কম। সুতরাং, এটি একটি চমৎকার ব্যবসার সুযোগ।

আপনি যদি ডেলিভারি ব্যবসায় টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিযোগীদের দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার কোম্পানি সেই ভুলগুলো করবে না।

  • পণ্যটি সময়মতো সরবরাহ করতে হবে।
  • ডেলিভারি চার্জ যুক্তিসঙ্গত হতে হবে
  • অবশ্যই ব্যবসার মালিককে সঠিক সময়ে অর্থ প্রদান করতে হবে
  • অবশ্যই ভালো ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে

আপনি যদি বিশ্বাসের সাথে উপরের বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আপনি গ্রাহকদের অভাব অনুভব করবেন না। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে অনেক ছোট ছোট ব্যবসা এবং প্রতিটি ব্যবসার মালিককে তার পণ্য সরবরাহ করতে হয়।

শিক্ষার্থীদের জন্য স্টেশনারি শপ

আরেকটি ছোট লাভজনক ব্যবসায়িক ধারণা হল ছাত্রদের জন্য স্টেশনারি দোকান। বর্তমানে, এটি কিছুটা সংকটজনক পরিস্থিতিতে আছে কিন্তু এটি অবশ্যই ব্যবসার জন্য লাভজনক। আপনি যদি খুব কম ইনভেস্ট করে আপনার ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই ব্যবসার ধারণাটি নিয়ে ভাবতে পারেন। আপনি এটি স্থানীয়ভাবেও শুরু করতে পারেন এবং স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা বেছে নিতে পারেন।


টিউশন মিডিয়া এজেন্সি

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একটি প্রাইভেট টিউটর প্রয়োজন।কিন্তু ভালো প্রাইভেট গৃহশিক্ষক খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। এমনকি অনেক অভিভাবকও জানেন না কিভাবে একজন চমৎকার প্রাইভেট টিউটর নিয়োগ করতে হয়। যেহেতু একজন প্রাইভেট টিউটর নিয়োগ করা ছাত্র এবং অভিভাবকের জন্য একটি সমস্যা, আপনি যদি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন, তাহলে এটি একটি ভালো ব্যবসায় পরিণত হতে পারে।

কিভাবে আপনি এটি করতে পারেন?

আপনি আগ্রহী টিউটরদের কাছ থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড ইনফরমেশন অর্থাৎ বায়ো-ডেটা সংগ্রহ করতে পারেন। যখন কোন অভিভাবক আপনাকে একজন গৃহশিক্ষকের জন্য নক করবে, তখন আপনি আপনার ডাটাবেস চেক করতে পারেন এবং অভিভাবকের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষককে কল করতে পারেন।

কিন্তু আপনি কিভাবে লাভ করবেন?

  • প্রথমত, আপনি আপনার সেবা পেতে টিউটর এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি সংগ্রহ করতে পারেন।
  • দ্বিতীয়ত, আপনি টিউশন বেতনের থেকে কমিশন নিতে পারেন। এটি টিউশন নিশ্চিত করার পরে বা শুধু প্রথম মাসের বেতন পাওয়ার পরে বেতনের 20% বা 30% হতে পারে।


ফটোগ্রাফি

ফটোগ্রাফি এই একবিংশ শতাব্দীতে ভাল ব্যবসা হতে পারে। বিবাহ বা প্রায় প্রতিটি ইভেন্ট ভাল ছবির প্রয়োজন। তার জন্য প্রয়োজন ভালো ফটোগ্রাফার।

আপনি একটি ফ্রি ফেসবুক পেজ চালিয়ে আপনার ব্যবসা খুলতে পারেন।আপনার তোলা ছবি আপলোড করুন যাতে লোকেরা আপনার কাজ পছন্দ করে।

  • প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ একটি ভালো ক্যামেরা প্রয়োজন। তা কিনতে ৫০০০০ টাকা এর মত লাগবে।
  • আনুমানিক লাভঃ ৫০০০০-৭৫০০০ টাকা

ফুলের দোকান

একটি ফুল ভালোবাসার প্রতীক এবং সবার কাছে উপভোগ্য। এটি সবচেয়ে লাভজনক এবং কম বিনিয়োগের ব্যবসা। যেকোনো উপলক্ষ্যে, বিশেষ দিন, বিয়ের অনুষ্ঠান এবং পার্টি ইত্যাদিতে ফুলের চাহিদা থাকে, তাই আপনি ফুল বিক্রি করে বছরে একটি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ফুলের দোকানের জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক স্থান নির্বাচন করতে হবে। প্লাস্টিকের ফুলও রাখতে পারেন। বাড়ির সাজসজ্জার জন্য এর খুব বেশি চাহিদা রয়েছে।

  • আনুমানিক প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ ২০০০০-৩০০০০ টাকা
  • আনুমানিক লাভঃ ৪০০০০-৬০০০০ টাকা


খাবার ডেলিভারি

খাদ্য ডেলিভারি মূলত একটি শহর ভিত্তিক নতুন ব্যবসায়িক ধারণা। আপনি এই ব্যবসা চুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে করতে পারেন। আপনি ডেলিভারি ম্যান ব্যবহার করে খাবার, লাঞ্চ, ডিনার তাদের ক্লায়েন্টের বাড়ি, অফিস বা কর্মস্থলে পৌঁছে দিতে পারেন।

  • প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ ২০০০০ টাকা এর কম
  • আনুমানিক লাভঃ ৩০০০০-৬০০০০ টাকা

ইভেন্ট ম্যানেজার

আপনি যদি ইভেন্ট প্ল্যানার হতে চান তাহলে ছোট থেকে বড় সব ইভেন্ট সাজাতে হবে। এই ব্যবসার চাহিদা অফুরন্ত। অনেক ছোট থেকে বড় ইভেন্ট রয়েছে যেমনঃ জন্মদিনের পার্টি, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, বিবাহের অনুষ্ঠান, সরকারী অনুষ্ঠান, বার্ষিকী ইত্যাদি যা আপনি সাজাতে পারেন।

  • আনুমানিক প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ ৫০০০০ টাকা এর মত
  • আনুমানিক লাভঃ ৫০০০০-৮০০০০ টাকা

মোবাইল  মোবাইল আনুষাঙ্গিক

বাংলাদেশে মোবাইল এবং স্মার্টফোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সাথে সাথে মোবাইল ফোনের দোকানের চাহিদা অনেক বেশি। সুতরাং, আপনি মোবাইল ফোনের দোকান শুরু করতে পারেন।

আপনি অনলাইনে আপনার দোকানের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। আপনার দোকানে চার্জার, ইয়ারফোন, ব্যাক কভার ইত্যাদি মোবাইল আনুষাঙ্গিক রাখতে পারেন, সেই সাথে মোবাইল মেরামতের জন্য একটি পৃথক বিভাগও রাখতে পারেন। আপনার কাস্টমার যখন বৃদ্ধি পাবে, তখন আপনার লাভও হবে।

ফাস্ট ফুড শপ ব্যবসা

এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যবসায়িক ধারণা। সবাই খেতে ভালোবাসে এবং খাবারে ভিন্ন স্বাদ খেতে চায়। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে ইনভেস্ট করতে হবে। আপনি যদি ভালো স্বাদ এবং সেবা দেন, তাহলে আপনি সহজেই এই ব্যবসায়িক আইডিয়াতে সফল হতে পারবেন।

বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই এই লাভজনক ব্যবসায় আগ্রহী। আমি মনে করি এই ব্যবসায় সর্বনিম্ন বিনিয়োগ প্রায় লক্ষ টাকা।

ব্যবসা শুরু করার জন্য শীর্ষ কিছু কৃষি ব্যবসার আইডিয়া নিচে দেওয়া হলঃ

মৎস চাষ

যদি আপনার মাছ চাষের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে, তাহলে আপনি বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রথমে, একটি ভাল অবস্থান বের করুন। এরপর  জল এবং পরিবেশ বিশ্লেষণ করুন, এটি মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত কিনা। তারপরে মাছের সঠিক প্রজাতি চাষ এবং স্বাস্থ্যকর মাছ পেতে সিদ্ধান্ত নিন। মাছের জন্য সঠিক খাদ্য খুঁজে বের করুন এবং পর্যাপ্ত বড় হয়ে গেলে বিক্রি করুন। এই ব্যবসায় আপনার আনুমানিক ৫০০০০-৭০০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হতে পারে।

পোলট্রি ফার্ম 

মুরগি পালন বাংলাদেশে একটি পুরনো ব্যবসা। সুতরাং, এটি বাংলাদেশের কৃষিপ্রধান দেশের জন্য একটি ভালো ব্যবসায়িক ধারণা। আপনাকে সঠিক জায়গা, সঠিক ধরনের মুরগি, তাদের খাবার এবং সঠিক যত্ন বেছে নিতে হবে। কিন্তু আপনি একটি ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার ভাল প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞান প্রয়োজন।

অন্য যে কোনো দেশের মতো বাংলাদেশেও মুরগির ভালো চাহিদা রয়েছে। এটি এমন একটি ব্যবসা যা আপনার জন্য খুবই লাভজনক।


সবজি চাষ

আমরা সারা বছর সব ধরনের সবজি খাই। অতএব, বিভিন্ন ধরণের সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনার নিজের সবজি চাষের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সবজি ব্যবসায়, আপনার প্রথম ধাপে আপনার পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করা উচিত, কারণ সবজি একটি পচনশীল পণ্য। পরবর্তী, একটি কাঠামো নির্বাচন করুন এবং মাটি পরিদর্শন করুন। এর পরে, ফসল নির্বাচন করুন এবং সঠিক যত্ন এবং ব্যবস্থাপনার সাথে চাষ প্রক্রিয়া শুরু করুন।

আপনি যদি বাংলাদেশে স্বল্প পুঁজি দিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এখানে সবজি চাষ করতে পারেন। যদি আপনি একটি সুপার শপে আপনার সবজি সরবরাহ করতে পারেন তবে এটি দুর্দান্ত হবে। এছাড়া স্থানীয় বাজারেও সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

ফল চাষ

শিক্ষা সচেতনতার অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষ বেশি ফল খায়। এটি আপনাকে এই ব্যবসায়িক ধারণাটি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করতে পারে। এই ব্যবসায় আপনার যে পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিত তা হল প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নির্বাচন, বাজার বিশ্লেষণ, বেশ কয়েকটি ফলের চাষ এবং ব্যবসার প্রচার।

দুধ চাষ

আমাদের দেশে দুধের চাহিদা অনেক। কিন্তু পণ্যটি অনেক কারণে কম সন্তোষজনক। এই ব্যবসায়িক পরিকল্পনার সুবিধা গ্রহণ এবং মুনাফা অর্জনের জন্য এটি আপনার সেরা সুযোগ হতে পারে।

  • প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্টঃ ফল, সবজি ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য ৬০০০০ BDT
  • আনুমানিক লাভঃ মাসিক ৫০০০০-৭০০০০ BDT ( মাস পর)

ব্যবসার জন্য শীর্ষ কিছু অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া নিচে দেওয়া হলঃ

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি

ইউটিউবইং বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়।অধিকাংশ মানুষ ইউটিউবে ভিডিও দেখে। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে মানুষ অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চেয়ে ইউটিউবে বেশি সময় ব্যয় করে। তাই ব্যবসা হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার চমৎকার সুযোগ রয়েছে।

যদি আপনি একটি জনপ্রিয় চ্যানেল তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করতে পারেন। এই ইউটিউব চ্যানেল খোলা খুব সহজ, কিন্তু ভিডিও তৈরি করা এবং সঠিক নিশ নির্বাচন করা কঠিন। আপনি যদি ইউটিউব ব্যবসা থেকে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিশ নির্বাচন করতে হবে। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে একটি নিখুঁত নিশ নির্বাচন করবেন!

আপনার নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা উচিত এবং যখন আপনার ভিডিওতে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার,  তখন আপনি আপনার চ্যানেলের AdSense মনিটাইজের জন্য আবেদন করতে পারেন।

 কমার্স ব্যবসা

ইকমার্স ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় লাভজনক ব্যবসা। একটি ইকমার্স সাইট তৈরি করা বেশ সহজবোধ্য। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে এটি করতে পারেন। যদি আপনি নিজে এটি করতে না পারেন, আপনি বাজেটের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য একজন ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করতে পারেন।

আপনি যা বিক্রি করতে চান তা নির্বাচন করুন এবং এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অসাধারণ বিক্রয় পেতে পারেন। একই সময়ে, এসইও করুন এবং গুগলে কীওয়ার্ড রেঙ্ক করুন, আপনি এভাবে অর্গানিকভাবে গ্রাহক পাবেন।

আপনি আপনার -কমার্স সাইটে বা অন্য কিছুতে শিশুর আইটেম বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি সঠিক উপায়ে কাজ করতে পারেন, তাহলে এটি খুব কম বিনিয়োগের সাথে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। আপনি কল্পনা করতে পারবেন না যে একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার মাসে কত উপার্জন করে। আমি অনেক মার্কেটারকে চিনি যারা শুধু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ১০ হাজারেরও বেশি ডলার আয় করছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এক ধরনের ব্লগিং এবং কমিশন অর্জনের জন্য অন্যান্য পণ্যের প্রচার।বাংলাদেশের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা সাধারণত amazon পণ্যের প্রচার করে। কেউ যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে কোন পণ্য কিনে থাকেন, আপনি তার জন্য একটি কমিশন পাবেন।

ব্লগিং

ব্লগিং হল অন্যতম জনপ্রিয় ব্যবসা যে কেউ লিখতে পছন্দ করে সে ব্লগিং শুরু করতে পারে

আপনি যেকোনো বিষয়ে একটি ব্লগ সাইট শুরু করতে পারেন এবং গুগল অ্যাডসেন্স বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন চ্যানেলের মাধ্যমে এটি মনিটাইজ করতে পারেন। শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজন ট্রাফিক বা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর।

ব্লগিং এর উপার্জন নির্ভর করে প্রতি ক্লিকের খরচ (CPC) এবং কীওয়ার্ডের সার্চ ভলিউমের উপর। সুতরাং,যদি আপনি দ্রুত এবং সহজে উপার্জন করতে চান তবে ব্লগ শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই কীওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করতে হবে। যদি আপনি লেখায় ভাল হন,তাহলে আপনার প্রিয় বিষয়ে ব্লগিং শুরু করুন এবং ব্লগ মনিটাইজ করে উপার্জন করুন।

অনলাইন নিউজ পেপার

অনলাইন সংবাদপত্র আপনার জন্য স্মার্ট ব্যবসায়িক ধারণাগুলির মধ্যে একটি হতে পারে। আপনি আপনার অনলাইন জার্নালে ভাইরাল খবর কভার করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরের লিঙ্ক শেয়ার করে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাপক ট্রাফিক আনতে পারেন।

একই সময়ে, আপনি নিম্ন প্রতিযোগিতামূলক কীওয়ার্ড টার্গেট করতে পারেন। আপনি ব্যাপক ট্রাফিক পাওয়া শুরু করেন, তাহলে আপনার উপার্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

আপনি আপনার অনলাইন সংবাদপত্রকে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ  করতে পারেন।

  • গুগল অ্যাডসেন্স
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • পেইড কনটেন্ট
  • স্পনসর করা বিজ্ঞাপন
  • ট্রাফিকের উপর ভিত্তি করে চুক্তিবদ্ধ বিজ্ঞাপন
  • পণ্য বিক্রয়
  • সেবা প্রদান


ফ্রিলান্সিং ট্রেইনিং কোচিং

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেশি হওয়ায় ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সিং বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম।  আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সি দ্বারা তরুণদের এবং বেকারদের সাহায্য করার জন্য এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন এবং বিপুল মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

আপনি মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা শেখাতে পারেন। এটি বাংলাদেশের একটি বিশাল বাজার। শত শত ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সি এটি নিয়ে কাজ করছে এবং এখন এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউটের মানের অভাব রয়েছে এবং তাদের প্রধান দুর্বল বিষয় হল তারা মানসম্মত প্রশিক্ষণ দেয় না। আপনি যদি সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারেন, তাহলে এটি আপনার ব্যবসাকে বাড়িয়ে তুলবে।

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলি প্রশিক্ষণ দেয়ঃ

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেট
  • ভিডিও এডিটিং
  • অ্যাপস ডেভেলাপমেন্ট
  • 3D অ্যানিমেশন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

উপরে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া থেকে আশা করি আপনি আপনার পছন্দের বিজনেস আইডিয়া খুঁজে নিতে পারবেন এবং আজই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।